আর ক’দিন বাদে উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ এলেই অস্থির হয়ে ওঠে মসলার বাজার। নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়ানো হয় এর দাম। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন ঈদকে কেন্দ্র করে এবার বাড়েনি দাম। তবে মসলার দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। তাদের দাবি, বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা জোরদার করা।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি লবঙ্গ ১১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত ২০ দিন আগেও ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে কমেছে এলাচের দাম। প্রতিকেজিতে ৪০০ টাকা কমে এখন ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে জিরার দাম। ২৮০ টাকার জিরা এখন ৪০০ টাকা। থেমে নেই গোল মরিচের দাম। প্রতিকেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক বাজারকে।
মসলা বিক্রেতা শেখ তানভির হাসান বলেন, দাম বেড়েছে গত কয়েকদিন ধরে। আমদানি নির্ভর পণ্য হওয়ায় এর খবর রাখেনা কেউ । তাছাড়া গরম মশলার বেশীরভাগ আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। সেখানে এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব আমাদের দেশের বাজারেও পড়েছে। তাছাড়া ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বেড়েছে পরিবহন খরচ। ফলে প্রতিটি জিনিষের দাম বেড়েছে।
সিদ্দিক স্টোরের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম রবি বলেন, গরম মসলা ঈদুল ফিতরে তেমন একটা বিক্রি হয়না। বেশী বিক্রি হয় কোরবানি ঈদে। সে সময় এর দাম বাড়তি থাকে। তবে এবার ব্যতিক্রম দেখছি। তিনি মূল্য বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে প্রচুর মাল রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার বা যুদ্ধের কোন প্রভাব মূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী নয়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের কারিসাজিতে বাড়ছে এ পণ্যটির দাম। তিনি বলেন, আমদানি নির্ভর পণ্য হওয়ায় কেউ এর কোন খবর রাখেনা। তাছাড়া বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে বেড়ে চলেছে একের পর এক পণ্যর দাম।
কথা হয় বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক কর্মকর্তা হামিদ শিকদারের সাথে। ঈদুল ফিতরের জন্য তিনি মসলা কিনতে বাজারে এসেছিলেন। দাম শুনে রীতিমতো বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। কি করবেন ভেবে উঠতে না পেরে অধিক দামে গরম মসলা ক্রয় করেছেন। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে সবকিছুরই দাম বেড়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।