কোথায় থামবেন এনামুল হক বিজয়? ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের চলতি মৌসুমে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ডিডিপিএলে প্রাইম ব্যাংককের জার্সিতে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১২ ম্যাচ, যেখানে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস আছে ৯টি। যার দুটি শতকে রূপ দিয়েছেন সেঞ্চুরিতে, বাকি ৭টি থেমেছে অর্ধশতকে। এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রেকর্ড গড়েছেন বিজয়। ঢাকা লিগের এক আসরে এখন সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি।
১২ ম্যাচ শেষে বিজয়ের নামের পাশে ৮৭৮ রান। ম্যাচ প্রতি গড় ৭৩ এর ওপর। এমন পারফরম্যান্সের কল্যাণে বিজয় পেছনে ফেলেন সাইফ হাসানকে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৬২.৬১ গড়ে রান করেছিলেন ৮১৪ সাইফ। ফর্মের তুঙ্গে থাকা বিজয়কে নিয়ে নতুন করে ভাবতে বললেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাওয়া আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিজয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পক্ষে মাশরাফি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেএসপিতে সংবাদমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, ‘সামনে টি-২০ বিশ্বকাপ। ওর বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে ওর সেঞ্চুরি আছে, ফিফটি আছে। অবশ্যই আরো আছে আমি মনে করি ওকে এখনি যত্নআত্তি করা উচিত। যদি কোনো সমস্যা থাকে সমাধান করা উচিত।’
মাশরাফি অবশ্য এখনই জাতীয় দলে নিতে বলছেন না বিজয়কে। ডিপিএলের ভালো করার ফল হিসেবে হাই পারপফরম্যান্স ইউনিট, এ দল, বাংলাদেশ টাইগার্স খেলানোর পরামর্শ নড়াইল এক্সপ্রেসের।
মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘এখান থেকে সরাসরি জাতীয় দল কেন? এখান থেকেও তো আরেকটা ধাপ থাকে। এরপরও কিন্তু আরেকটা লেভেল আছে। এইচপি, এ টিম। কারণ ওই লেভেলটাও তো দেখতে হবে। ওই লেভেলে গিয়ে ও কেমন করছে। সো একটা জায়গা থেকে আমি মনে করি যে এটা যুক্তিসঙ্গত কথা যে এখান থেকে রাডারের নিচে আসা। সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর বিজয়ের কথা আমি এজন্যই বলব যে বিজয়কে এখনি যত্নআত্তি করা উচিত।’
সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি, ‘টার্নিং উইকেট, স্লো উইকেট যেকোনো উইকেটে সে কিন্তু ডোমিনেট করে রান করেছে দিস ইজ এক্সপেকশনাল ব্যাটিং, আপনি যেকোনো লেভেল বলেন। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট লেভেল কিন্তু বিশেষ করে ডিপিএল অনেক উঁচুমানের। আমি মনে করি যে এখানে বিজয় যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছে, একটা দলকে যেভাবে টেনে এনেছে ৮০০+ রান করেছে। নিশ্চিতভাবে আমি মনে করি তাকে এখনি জাতীয় দলের আশে পাশে আনা উচিত এবং তাকে নিয়ে কাজ করা উচিত।’
২০১২ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হওয়া বিজয় দেশের জার্সিতে সবশেষ খেলেছেন ২০১৯ সালে। বলা যায়, ২০১৫ সালের পর থেকে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তিনি।