বাগেরহাটের রামপালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মল্লিক দিদারুল আলম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহত মল্লিক দিদারুল আলম কুমলাই গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ছেলে। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে তারাবির নামাজের পরে রামপাল উপজেলার কুমলাই গ্রামের আঃ সাত্তার মল্লিক ও তার ছেলে আবু বক্কর মল্লিকের পিটুনি ও দায়ের কোপে গুরুত্বর আহত হয় দিদারুল। আহত দিদারুলকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় আঃ সাত্তার মল্লিককে (৬৩) আটক করেছে পুলিশ। আঃ সাত্তার মল্লিকের ছেলে আবু বক্কর ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, আঃ সাত্তারের স্ত্রী নেই। তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান করতে আঃ সাত্তারকে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলে আবু বক্করকে পরামর্শ প্রদান করেন মল্লিক দিদারুল আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আঃ সাত্তার মল্লিক ও তার ছেলে আবু বক্কর মল্লিক দিদারুল আলমের উপর হামলা করে।
ওসি আরও বলেন, রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমরা হামলাকারী আঃ সাত্তারকে গ্রেফতার করেছি, সাত্তারের ছেলে আবু বক্করকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।