মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ‘মুখ ফসকে’ বঙ্গবন্ধুর খুনি হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানানোর অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, প্রথমে সিন্ডিকেটে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। পরে তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ থেকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে৷
এদিকে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানানোয় অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ-এর কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
গত ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এমন অভিযোগ ওঠে। সভায়ই উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বক্তব্যকে ‘এক্সপাঞ্জ’ করেন।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সেখানে তারা অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে খন্দকার মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানানো অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ।