সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মীর সোহরাব হোসেন সোহার্দে্যর চরিত্র-হরণমূলক অপপ্রচার চালিয়ে সম্মানহানী করায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী সানজিদা খান।
তিনি বুধবার (২০ এপ্রিল) খুলনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকসহ ৬জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ড. মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, আদালত ১৮ মে এ মামলার পরবর্তী দিন ধায্য করেছেন।
মামলায় মূল অভিযোগ আনা হয়েছে বিতর্কিত পোস্টদাতা মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারীর স্ত্রী জেরিন তাসনিম জুঁইকে।
এছাড়া বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার ও কমেন্টস করার অভিযোগে ঢাকার সবুজবাগ থানার দক্ষিণ রাজারবাগ বাসাবোর এসএম সাইফ আব্দুল্লাহর স্ত্রী প্রজ্ঞা তাপসী খান, মীরপুর পুলিশ কনভেনশন হল সংলগ্ন আতিকুল হাসানের স্ত্রী জান্নাতুল নাইমা, বীর উত্তম একে খন্দকার রোডস্থ গুলশান ভবনের কাজী এহসানুল হকের স্ত্রী প্রমা এহসান খান এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা রায় ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসানকেও বিবাদী করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১নং বিবাদী জেরিন তাসনিম জুঁই ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর তার ফেসবুক ‘জেরিন.তাসনিম-৩’ নামক আইডিতে অধ্যাপক মীর সোহরাব হোসেন সোহার্দের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ পোস্ট করেন।
পরে প্রজ্ঞা তাপসী খান, জান্নাতুল নাইমা, প্রমা এহসান খান, অধ্যাপক মৌমিতা রায় ও অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান সেগুলো যাচাই না করেই সমর্থন করে নিজ নিজ ফেকবুক আইডিতে শেয়ার এবং কমেন্টস করেন। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এছাড়াও তাদের এসব অপপ্রচারমূলক শেয়ারের ওপর অনেকেই অপ্রীতিকর নানা মন্তব্য করেন।
মামলায় বাদী সানজিদা খান উল্লেখ করেন, বিবাদীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার স্বামীর চরিত্র-হরণমূলক অপপ্রচার চালিয়ে তার সম্মানহানী করেছেন। এতে তিনি সামাজিক-পারিবারিক ও কর্মস্থলসহ দেশে-বিদেশে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন। এ কারণেই ন্যায় বিচার ও প্রতিকার পেতে আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক মীর সোহরাব হোসেন সৌহার্দ্য বলেন, জেরিন তাসনীম জুঁই ও প্রজ্ঞা খান নামের দুজন নারী আমাকে জড়িয়ে ফেসবুকে তাদের কথিত ছোট বেলার কল্প কাহিনীর অবতারণা করেন- যা বাস্তবতা বিবর্জিত এবং যার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এমনকি যেসব নোংরা ঘটনার কাল্পনিক গল্প অত্যন্ত অশালীন ভাষাতে তারা সাজিয়েছেন। এসব নোংরা কাহিনী প্রচার করে তারা সবার সস্তা সহানুভূতি ও বাহবা পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। আর অন্যরা কোনো ধরনের যাচাই না করেই সেগুলো শেয়ার ও আজে-বাজে কমেন্টস করেছেন। এতে তিনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।