রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পপুলার হাসপাতাল, ইবনে সিনা, স্কয়ার হাসপাতাল ও আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্বতা ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজসহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও তারা ‘শেম পুলিশ’, ‘বয়কট নিউ মার্কেট’ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ইডেন কলেজ, আলেয়া মাদ্রাসা, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজ মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছে।
ইতোমধ্যে ঢাকা কলেজের সব হল ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বিকেলের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিট থেকে ওই এলাকায় অবস্থান করা অনেকে মোবাইলে ডাটা ব্যবহার করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার প্রতি মুহূর্তের আপডেট জানাতে নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থানরত সংবাদকর্মীরা জানান, বিকেল থেকে নিউ মার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, নীলক্ষেত, এলিফেন্ট রোড, সায়েন্সল্যাব মোড়ে হঠাৎ মোবাইলের থ্রি জি ও ফোর জি ইন্টারনেট চলছে না। ডাটা অন করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। মোবাইলের ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই দুর্বল পাওয়া যাচ্ছে। স্পষ্টভাবে ফোনে কথাও বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের স্থানীয়ভাবে ওয়াফাই সংযোগ রয়েছে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।