খুলনার কয়রা উপজেলায় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর এক নারী (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) ভুক্তভোগী ওই নারী (২২) বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও একজন অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে কয়রা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (নম্বর ১৭)।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
তারা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোবরা এলাকা থেকে ২ নম্বর কয়রা গ্রামের আব্দুল হক সানার ছেলে ওমর সাদিক (২৬), ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের আবুল কাশেম মোড়লের ছেলে জোবায়ের হোসেন (২৫), ২ নম্বর কয়রা গ্রামের সলেমান সরদারের ছেলে ইমরান হোসেন (২৭) এবং একই গ্রামের নজরুল সানার ছেলে শাহা আলমকে (২১)। তবে মামলার এজাহারনামীয় অপরএক আসামি ২ নম্বর কয়রা গ্রামের শফিকুল সানার ছেলে শহিদুল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর (২২) দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, ওই নারীর স্বামী ইটভাটায় কাজ করেন। তিনি কিছুদিন ইটভাটার কাজে থাকেন, আবার কিছুদিন বাড়িতেও থাকেন। তাদের ২/৩ বছরের এক সন্তান রয়েছে। রোববার তার স্বামী ইটভাটার কাজে চলে যান। ওই নারী রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে বাহিরে বের হন। এসময় কিছু লোকজন তাকে পিছন থেকে ধরে বসে এবং বলে তোর ঘরে লোক আছে। ওই নারী কেউ নেই বললে তারা তাকে বলে ঘরে নিয়ে দেখা। ঘরে যাওয়ার পর তারা তাকে ধর্ষণ করে। রোববার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার নলপাড়া গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
খুলনা গেজেট/ এস আই