বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে রোববার (১৭ এপ্রিল) বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তির জটিলতা নিরসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এক পরিপত্র জারি করা হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব সোনা মনি চাকমা।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতে করা বিভিন্ন রিট পিটিশনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ থেকে গত বছরের ৩০ মার্চ জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৩৯০০ ও ২০১৯ নম্বর মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজ্য প্রার্থীরা আবেদন করেন ও নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে যারা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছিলেন ও ২০১৮ সালে ১২ জুনের আগে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন তাদের এমপিও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা প্রযোজ্য হবে না। তবে এই আদেশ কোনো ক্ষেত্রে নজির হিসেবে গণ্য করা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মাউশিকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার সকালে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বিদ্যমান কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৈঠকে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তির জটিলতা নিরসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব পদে কেউ যোগদান করেনি সেসব পদে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারিতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করার পর ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।
এতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েও সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন।