লালমনিরহাটে পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর সদর থানার উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এসআই আব্দুল হালিমকে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে প্রত্যাহার করে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পুলিশি হেফাজতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে রবিউল ইসলাম নামের এক কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, কাজীর চওড়া গ্রামে জুয়া খেলার আসরে অভিযান চালিয়ে রাত ৩টার দিকে রবিউল ও প্রল্লাদ চন্দ্র রায়কে আটক করে পুলিশ। থানায় নেয়ার পথে রবিউল স্ট্রোক করলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম তাকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলা অবস্থায় রবিউলের মৃত্যু হয়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূর আলম জানান, স্ট্রোকের কারণে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
তবে রবিউলের মা সাফিয়া বেগমের অভিযোগ, আটকের পর তার ছেলেকে পিটিয়ে, নির্যাতন করে হত্যা করেছে পুলিশ। তিনি এ হত্যার বিচার দাবি করেন।
রবিউলের মৃত্যুর পর রাতেই স্থানীয় লোকজন লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা এসআই হালিমের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরই পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।
এরপর স্বজন ও স্থানীয়রা আবারও শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারের পাশে ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশের আশ্বাসে দুপুর দেড়টার দিকে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
রবিউলের ভাই আরিফ হোসেন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।