খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬
খুবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত করে : উপাচার্য

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ (বাংলা নববর্ষ-১৪২৯) উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট হয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে হাদী চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নানা রঙের ফেস্টুন, ঘোড়া, পেঁচা, দোয়েলসহ বর্ণিল সাজ ছিলো নজরকাড়া।

শোভাযাত্রা শেষে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। এর সাথে বাঙালি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত। বাঙালির চিরায়ত এই উৎসবটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উদযাপিত হয়। বাংলা নববর্ষের কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসিত। যা ইতোমধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে বাংলা নববর্ষ সেভাবে পালন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই মহামারী কাটিয়ে আবারও যে উৎসবমুখরভাবে দিনটি পালন করা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক।

তিনি আরও বলেন, বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত করে। সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপদানে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালে বাংলাদেশ যে মধ্যম আয়ের দেশের স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়িত হবে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উপাচার্য। শোভাযাত্রা শেষে তিনি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই উপভোগ করেন।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, আয়োজক কমিটির সভাপতি চারুকলা স্কুলের ডিন, কমিটির সদস্য-সচিব ছাত্র বিষয়ক পরিচালকসহ শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। এছাড়াও বাইরের প্রচুর সংখ্যক মানুষ সপরিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন নববর্ষ উদযাপনে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!