পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষ ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর তিন দিনের মাথায় এই তদন্ত শুরু করল এফআইএ।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মূল্যবান স্বর্ণের হার পাকিস্তানের এক অলঙ্কার ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন এবং তা থেকে প্রাপ্ত অর্থের অতি সামান্য অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
এফআইএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় নিজের বিশেষ সহকারী জুলফিকার বুখারির মাধ্যমে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ইমরান খান এবং ১৮ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে স্বর্ণের হারটি বিক্রি করেছিলেন তিনি। তবে সেই অলঙ্কার বিক্রির টাকা থেমে মাত্র কয়েক লাখ টাকা তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন।
একটি দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধ ও বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধা পাওয়ার মতো দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ২০১৮ সালের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান খান; কিন্তু পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা ভোটে গত ১০ এপ্রিল সেই পদ হারান তিনি।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে ইমরানের সম্পর্কের অবনতি হয়। এর মধ্যে বিরোধী দলগুলো জোট বেঁধে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো সরকার প্রধান মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারলেও ইমরানের আগে আর কাউকে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়নি।
শনিবার ক্ষমতা হারানোর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রথম টুইটেই আন্দোলনের ডাক দেন ইমরান খান। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বুধবার (১৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার-পাখতুনওয়ার রাজধানী পেশোয়ারে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এই আন্দোলন।
কিন্তু এই দিনই ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করল এফআইএ।