র্যাবের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি লড়াই চালাতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ দিতে যাচ্ছে ঢাকা। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এটা আইনি বিষয় তো। এটা ঠিক ওইভাবে তোলা যাবে না। আমরা লিগ্যাল প্রসেসের মধ্য দিয়ে যাব। ওখানে (যুক্তরাষ্ট্র) সার্টিফাইড যে আইনজীবীরা আছেন, তাদের দিয়ে কাজগুলো করাতে হবে। আমরা ইনিশিয়াল কিছু লিগ্যাল অ্যাকশন নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা-ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সেখানে ঢাকার পক্ষ থেকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মার্কিন ওয়াশিয়টনের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এরপর ৭ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। ব্যক্তির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেটি তোলা এক ধরনের প্রক্রিয়া। সংস্থার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা আরেক ধরনের প্রক্রিয়া। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হলে যে প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এটা বাতিল করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যে প্রক্রিয়ায় এটি তুলে নেওয়া হয়, সেটি অনুসরণ করতে হবে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লেহি আইন অনুযায়ী কোনো সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা থাকলে ওই সংস্থাকে সহায়তা দেওয়া হয় না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছি, যদি সুযোগ থাকে, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং যদি থাকে, তাহলে আমাদের পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা হয়তো র্যাবে ভবিষ্যতে ডেপ্লয়েড হতে পারেন, এ রকম সবাইকে নিয়ে আমরা করতে পারি।