ইমরান খান অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পর আজ সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। প্রার্থী হিসেবে দুই জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দল পিটিআইয়ের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এনের প্রধান শাহবাজ শরিফ। আজ দুপুর ২টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য।
দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে গত শনিবার (৯ই এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দরকার ছিল ১৭২ ভোট।
পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ অনাস্থা ভোটের পর জানান, বিরোধীদলীয় জোট ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ পরায়ণ হবে না। সংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে পাকিস্তান নিজ অস্তিত্বে ফিরে আসবে।
পাকিস্তানের বাইরে খুব একটা পরিচিতি না থাকলেও দেশে কার্যকর একজন প্রশাসক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। ১৯৯৭ সালে তিনি প্রথম পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি কারাবন্দি এবং পরে সৌদি আরবে নির্বাসিত হন। ২০০৭ সালে তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে শরিফ দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১৩ সালে তিনি তৃতীয়বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন।
এদিকে গতকাল রবিবার পিটিআই দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জানান, আজ সোমবার তার দলের জাতীয় পরিষদের সদস্যরা (এমএনএ) গণপদত্যাগ করবেন। ডনের এক খবরে বলা হয়েছে, পিটিআই এমএনএর পদত্যাগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজের মনোনয়ন গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পিটিআই। যদিও, পরে জাতীয় পরিষদের সচিবালয় সেই আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে এবং শাহবাজের মনোনয়ন গ্রহণ করে।