মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে করোনা দৈনিক-সংক্রমণ মৃত্যুতে ফের শীর্ষে উঠল দক্ষিণ কোরিয়া। ১০ এপ্রিল রোববার করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বিশ্বে শীর্ষে ছিল দেশটি। এর আগে গত ৩ এপ্রিলও এক দিনে কোভিডে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছিল দেশটিতে।
মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের চার্ট বলছে, রোববার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২১ জন এবং এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৩২৯ জনের। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এইদিন এত সংখ্যক আক্রান্ত-মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
দক্ষিণ কোরিয়া ব্যতীত বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে রোববার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৬৫৪ জন, মৃত ৪৫ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৫৩ হাজার ২৫৩ জন, মৃত ৯০ জন), জাপান (নতুন আক্রান্ত ৫২ হাজার ১৬২ জন, মৃত ৫৬ জন), অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৪৪ হাজার ১১৪ জন, মৃত ১৪ জন) রাশিয়া (মৃত ২৫৯ জন, নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজার ৫৬ জন) ও মেক্সিকো (মৃত ১২৫ জন, নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৭১২ জন)।
রোববার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩১ হাজার ৯৪৬ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৭৪ জন। এছাড়া এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮০ জন।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৯ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কেটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ২০১ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৫৩ হাজার ৬৭৮ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩২ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬২ লাখ ৩ হাজার ৩২২ জনের। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ জন।