অনাস্থা ভোটের আগেই পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ছেড়ে বেরিয়ে যান তেহরিক-ই-ইনসাফের সাংসদরা। ভবিষ্যৎ আঁচ করে অ্যাসেম্বলিতে আসেননি খোদ ইমরান। এর পর অনাস্থা ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে ১৭৪টি ভোট পড়ে। ইমরান সরকারের পতন হওয়ার পর প্রধান বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানান সদ্য স্পিকারের আসনে বসা আয়াজ সাদিক। জল্পনা, এই শাহবাজই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল, ইমরান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই হবেন। পুরো নাম পুরো নাম মিয়া মহম্মদ শাহবাজ শরিফ। অনাস্থা ভোটে ইমরানকে গদিচ্যুত করার পর শাহবাজকে কিছু বলার অনুরোধ করা হয়। অ্যাসেম্বলিতে গলা উঁচিয়েই শাহবাজ জানান, কোনও মতেই বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না তিনি। এই ফল পাক জনগণের ইচ্ছেতেই হয়েছে। পাকিস্তানে সুদিন ফিরতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকা শাহবাজ।
পাক রাজনীতিতে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হওয়া এই শাহবাজ কে? তিনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা মুসলিম লিগের জনপ্রিয় নায়ক নওয়াজ শরিফের আপন ভাই। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদেও বহাল ছিলেন তিনি। শাহবাজ পঞ্জাব প্রদেশের সব থেকে দীর্ঘ মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রীও বটে। তিনি পঞ্জাব প্রদেশে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দাদা নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। তখন থেকেই ভাইঝি মরিয়াম শরিফকে নিয়ে দল সামলাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৩ অগস্ট তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন। এ হেন শাহবাজকেই নিয়ে পাকিস্তানে জল্পনা তুঙ্গে। তিনিই হতে পারেন পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী।