ইউক্রেনের কাছে তুরস্কের তৈরি বায়রেকতার টিবি২ ড্রোন বিক্রি না করার অনুরোধ জানিয়েছে রাশিয়া। এ বিষয়ে তুরস্কের কাছে অভিযোগ করেছে দেশটি। শুক্রবার তুরস্কের একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ড্রোন বিক্রির বিষয়টি বেসরকারি তুর্কি কোম্পানির দ্বারা হয়েছিল। এটা দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি নয়।
বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠকে ওই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনের কাছে ড্রোন বিক্রি করায় রাশিয়া বেশ মর্মাহত। তারা বিভিন্ন সময়ে ড্রোন বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ করছে। তারা আগেও অভিযোগ জানিয়েছে এবং এখনো অভিযোগ করছে।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই উত্তর দিয়েছি যে… এগুলো প্রাইভেট কোম্পানি মধ্যকার চুক্তি। ড্রোন বিক্রি যুদ্ধের আগেও হয়েছিল।
জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে তুরস্ক। এছাড়াও দেশটি রাশিয়ান পর্যটকদের ওপর বেশ নির্ভরশীল। তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থা বাইকার রাশিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও কিয়েভের কাছে ড্রোন বিক্রি করেছে। যুদ্ধ শুরুর আগে আরও ড্রোন উৎপাদনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার ফলে মস্কো বেশ ক্ষুব্ধ।
কৃষ্ণ সাগরে ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সঙ্গে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সমুদ্রসীমা রয়েছে। তুরস্ক দু দেশের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও যুদ্ধে মধ্যস্থতার ভূমিকা নিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাতে সেনা পাঠায়। অভিযান শুরুর দুই দিন আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। কিন্তু কিয়েভ ও পশ্চিমারা বলছে, পুতিন বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন শুরু করেছেন। সূত্র : রয়টার্স