বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও ঈদের পর দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন মিল মালিকরা। বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে তেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে এ কথা জানান মিল মালিকরা। বর্তমানে বাজার কারসাজিতে মিলগুলো জড়িত নয় উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকার জানায়, এবার মূল্য নির্ধারণে ভ্যাট কমানোর সুফল পাবেন ভোক্তারা।
‘মাঝে তেলের সরবরাহ ঠিক ছিল। এখন আবার কম। প্রথম রমজানের পর থেকেই একটু সংকট দেখা দিয়েছে।’ আবারও যখন ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকটের কথা জানাচ্ছেন কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা, তখন একটু দূরেই টিসিবি ভবনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আলোচনার শুরুতেই তিনি জানান, বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এমনকি বর্তমানে বাজার কারসাজির জন্য মিলের দায় নেই। তাই দায়ী ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলছে কর্মযজ্ঞ। এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এখন আবার ডিলাররা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।
এ সময় ঈদের পর তেলের মূল্য সমন্বয় করা হলে দাম বাড়বে উল্লেখ করে সরকারকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানায় মিল কর্তৃপক্ষ। এস আলম গ্রুপ অব কোম্পানিজের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রমজানের পর যদি সরকার আমাদের তেলের দাম নির্ধারণ করতে চায়, তখন দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। তাই আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আগামী মাসে তেলের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে গত মাসে ভ্যাট কমানোর সুফল পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের পাশাপাশি রিফাইনারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার ও ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়টি আমরা গণনা করব। আমরা এটি নিয়ে আগামী মে মাসে বসব। দাম বর্তমান মূল্য থেকে বেশি হবে, না কম হবে, তা সেই সময়ে বলা যাবে।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত প্রতি টন ১ হাজার ৪০৭ ডলার ব্যয় ধরে বাজারে তেল বিক্রি চলছে। রমজানের মধ্যেই ১ হাজার ৮০০ ডলারের বেশি ব্যয়ের তেল বাজারে আসবে বলে জানানো হয়।
খুলনা গেজেট/এএ