ডুমুরিয়ার একেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ৪জন নবনির্বাচিত প্রতিনিধি উক্ত কমিটিতে প্রত্যাখান করে সভাপতি পদে পূর্ণরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এদিকে বুধবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য পতিরাম হালদারের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত অভিভাবক সদস্য পরিতোষ রায় ও দেবব্রত মন্ডল সহ কয়েকজন অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপিন বিহারি মন্ডলের সাথে দেখা করতে গেলে তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তিনি। তবে প্রধান শিক্ষক বিপিন বিহারি মন্ডল বলেন, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তিনি তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ ফিরোজ আহম্মেদের কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি এবং দাতাসদস্য সহ মোট ৯জন উপস্থিত ছিলেন। এরপর উন্মুক্ত আলোচনা ও সমার্থনে আওয়ামী লীগ নেতা বিষ্ণুপদ মন্ডল সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে ৪জন সদস্য এভাবে হাত তোলা সমার্থনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচনকে মেনে নিতে পারেনি। শুরু থেকেই তাদের দাবি ছিল যেহেতু অভিভাবক সদস্য নির্বাচন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হয়েছে। সেহেতু সভাপতি পদে নির্বাচন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হোক। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহম্মেদ তাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে হাত তোলা কমিটির নামে তাদের সাথে প্রহসন করেছে। তাই নির্বাচিত ৪জন প্রতিনিধি এ নির্বাচনকে প্রত্যাখান করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ঐ সময়ই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই পক্ষের অভিভাবক ও শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমরমতি ছেলেমেয়েরা রয়েছে আতঙ্কে। শিক্ষার্থীদের দাবি ভোটকে কেন্দ্র করে আমাদের অভিভাবকরা দিনদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিভাবক সদস্য দেবব্রত মন্ডল বলেন, আমাদের সাথে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। নির্বাচনে মোট ৯জন ভোটারের মধ্যে আমরা ৪জনই হলাম অভিভাবক প্রতিনিধি। আর অপর পক্ষ্য মাত্র ২জন অভিভাবক সদস্য আর ৩জন স্কুলের শিক্ষক (টিআর) প্রতিনিধি। আমরা এভাবে কন্ঠ বা হাত তুলে সমার্থন না করে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহনের জন্য বার বার প্রস্তাব করেছি। কিন্তু শিক্ষা অফিসার তা করেননি। এরপর বিষয়টি নিয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য পতিরাম হালদার, অভিভাবক সদস্য দেবব্রত মন্ডল ও পরিতোষ রায় আরও বলেন, বুধবার দুপুরে আমরা প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করার জন্য তার অফিস কক্ষে গেলে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি অফিস থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বের হয়ে যেতে বলেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মৌখিকভাবে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছিল। শুনেছি তারা একটি লিখিত অভিযোগও করেছে। তবে আমি এখনো অভিযোগের কপি হাতে পায়নি। হাতে পেলে বিষষটি আমি দেখবো।
খুলনা গেজেট/এএ