ভোক্তা পর্যায়ে আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হল গ্যাসের দাম। এক বছরের ব্যবধানে ১২ কেজি ওজনের প্রতি সিলিন্ডারে ৫৯৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ১২ কেজির সিলিন্ডারে ৪৮ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৩৯ টকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে গ্যাসের দাম আগাম বৃদ্ধির ঘোষণায় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত গ্যাস মজুদ রেখেছে।
গেল বছরের জুন মাসে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ৮৪২ টাকায় এলপিজি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ৮৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৯১ টাকায় বিক্রির নিদের্শনা দেয়। পর্যায়ক্রমে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে যথাক্রমে ৯৯৩ ও ১০৩৩ টাকায় বিক্রি নিদের্শনা দেওয়া হয়। এরপর ১০ অক্টোবর ১২৫৯ টাকায় বিক্রির নিদের্শনা দেয় এ প্রতিষ্ঠানটি। এ বছরের জানুয়ারিতে ৮১ টাকা কমিয়ে ১১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে আবার গ্যাসের দাম ৬২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১২৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। পরবর্তী মাসে একলাফে ১৫১ টাকা বাড়িয়ে ১৩৯১ টাকায় বিক্রির নিদের্শনা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর সর্বশেষ ৩ এপ্রিল ৪৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
খুলনা এলপিজি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শেখ মো: তোবারেক হোসেন তপু বলেন, গ্যাসের দাম আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি সিলিন্ডারে ৪৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসাররা দাম বৃদ্ধির আগাম শুনান দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বেসরকারি গ্যাস কোম্পানীর দাপটে সরকারি কোম্পানীগুলো হারিয়ে গেছে। তাদের ইচ্ছা মতো নির্ধারণ করা হচ্ছে এটির দাম।
আরও পড়ুন : আবারও বাড়ল এলপিজির দাম, ১২ কেজি ১৪৩৯ টাকা
দোলখোলা মিস্ত্রীপাড়া এলাকার গ্যাস ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, গত মাসে একলাফে ১৫১ টাকা আর চলতি মাসে ৪৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের দাম নির্ধারণ নিয়ে চলছে তুঘলকি কান্ড। প্রতিমাসে দর নির্ধারণ না করে সরকারকে একটি নির্দিষ্ট দর বেঁধে দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
সাইফুল আলম। সরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবর জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চারজনের সংসারে গ্যাস বাবদ মাসে তাকে আরও ৪৮ টাকা বেশী গুনতে হবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে তিনি আরও বেশী চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম