খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  রিসেট বাটন বলতে ৭১ এর গর্বিত ইতিহাস নয় দূর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতি মুছে নতুন সূচনার কথা বলেছেন ড. ইউনূস : প্রেস উইং
  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

ডুমুরিয়ার শোভনা-ভদ্রদিয়া কাঠের সেতুটি এখন মরণ ফাঁদ!

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া

খুলনার ডুমুরিয়ায় খননকৃত ভদ্রা নদীতে নির্মিত শোভনা-ভদ্রদিয়া কাঠের সেতুটি এখন যাতায়াতের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে মারাত্বকভাবে বেড়েছে জনভোগান্তি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন অতি দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা হবে।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের খরস্রোতা প্রমত্তা ভদ্রা নদী আশির দশকে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এরপর ওই ভরাট নদীর উপর দিয়ে এলজিইডি অধিদপ্তরের অর্থায়নে পাকা কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করেন। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের ভরাট হওয়া ভদ্রা নদী খনন করেন। এতে শোভনা-খর্ণিয়া দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুঃখ দূর্দশার কথা ভেবে এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থিক অনুদানে ও উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় খননকৃত নদীর উপর প্রায় একশত বিশ ফুট দৈর্ঘ্য একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। যা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে থাকে। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওই সেতু দিয়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল, মটর ভ্যান, নছিমন ও করিমন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন একটি কৃষি প্রধান এলাকা। এখানকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য খর্ণিয়া, ডুমুরিয়া, খুলনা সহ বিভিন্ন হাটে বাজারজাত করার একমাত্র উপায় এ কাঠের সেতুটি। কিন্তু স¤প্রতি এ সেতুটির একাংশ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছে দারুন ভোগান্তিতে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পারাপার করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকার কৃষক কোরমান শেখ, আবু বক্কার, ব্যবসায়ী রুহুল বাওয়ালী, মনিরুল সরদারসহ অনেকেই বলেন, শোভনা-খর্ণিয়া সড়কের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ কাঠের সেতু। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির এতই চাপ যে বছর যেতে না যেতেই কয়েক দফা ভেঙ্গে পড়ে। তাতে সেচ্ছাশ্রমে আবারও জোড়াতালি দিয়ে চলতে হয় জনগণের। বর্তমানে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এখানে একটা পাকা ব্রীজ না হলে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য বলেন,অতি দ্রæত সেতুটি সংস্কার করা হবে। এছাড়া পাকা ব্রীজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!