প্রথম দিন শেষে সমান-সমান অবস্থান ছিল দুই দলের। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে দিনটাও ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ দল। তবে ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পিছিয়ে টাইগাররা। নিজেদের পিছিয়ে থাকার কথা নিজেই স্বীকার করেছেন সফরকারী দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। খেলায় ফিরতে চতুর্থ দিনের সকালের সেশনে তাকিয়ে বাংলাদেশ দল। এই সেশনে বোলাররা ব্যর্থ হলে সবশেষ আবহাওয়া ভরসা বাংলাদেশের।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৩৬৭ রান জমা করে প্রোটিয়ারা। পরে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৯৮ রানে। এতে ৬৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ রানে খেলা শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটি বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে ৭৫ রানে।
এই টেস্টে বাংলাদেশের দলের সম্ভাবনা কতটুকু? সিডন্সের জবাব, ‘প্রথম সেশনে ৩-৪ উইকেট তুলে নিতে পারলে আমরা ম্যাচে ফিরে আসব। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গেলে তারা দ্রুত রান করবে, এতে ম্যাচ আমাদের আরও দূরে চলে যেতে পারে। আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি, তাই বেশি রান দেওয়ার সুযোগ নেই। আমার মনে হচ্ছিল, এটা ২৮০-৩০০ রানের উইকেট। যে ৬০ রান বেশি দিয়েছি, সেটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যার মানে হল প্রথম সেশনে কিছু উইকেট লাগবে।’
সঙ্গে যোগ করেন সিডন্স, ‘ওরা যদি প্রথম সেশনে ৮০-৯০ রান করে ফেলে তাহলে আমরা বেশ পেছনে পড়ে যাব। তখন ম্যাচ বাঁচানোর জন্য আবহাওয়ার দিকে তাকাব। আলোকস্বল্পতার কারণে কিছু ওভার কম হয়েছে ইতোমধ্যে। আজও সাড়ে তিনটার দিকে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।’
আবহাওয়া অবশ্য মাঝেমধ্যেই বাঁধ সাধছে ডারবান টেস্টে। প্রথম দিনের পর তৃতীয় দিনেও খেলা শেষ হয় আলোকস্বল্পতায়, সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে শেষপর্যন্ত আবহাওয়া পক্ষে না এলে ২৫০ রান তাড়া করাও কষ্টসাধ্য বলছেন সিডন্স।
এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের ব্যাখ্যা, ‘২৫০ রান তাড়া করাও অনেক কঠিন হবে। ইতোমধ্যে টার্ন করা শুরু করেছে। শান্ত আমাদের সেরা স্পিনারদের কেউ নয়, সেও আজ স্পিন করছিল। গতকাল ও আজ স্পিনাররা ভালো করেছে। আমরা তাড়া করতে নামলে মহারাজকে মোকাবেলা করা খুব কঠিন হবে। ফাস্ট বোলারদের বল আজ থেকে নিচু হয়ে আসছিল। আমরা ৬৯ রান পিছিয়ে না থাকলে এখন জয়ের কথা ভাবতে পারতাম।’