আসল কাজটা সেরে রেখেছিলেন বোলাররাই। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সোমবার (২৮ মার্চ) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মোহামেডানের বোলাররা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে গুটিয়ে দেন ১৮৫ রানেই।
জবাবে ৫ উইকেট হাতে রেখেই টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। অবশেষে রানের দেখা পেয়েছেন তাদের পাকিস্তানি রিক্রুট মোহাম্মদ হাফিজ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মোহামেডান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে শেখ জামাল। ২২ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে শীর্ষ ৪ ব্যাটারকে। সৈকত আলি (০), সাইফ হাসান (৩), ইমরুল কায়েস (১৫), জহুরুল ইসলাম (২) একে একে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন।
একটা সময় ৬১ রানের ৭ উইকেট হারিয়ে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে শেখ জামাল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন তাইবুর রহমান আর সানজামুল ইসলাম। সানজামুল নয় নম্বরে নেমে খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। তাইবুর অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।
বল হাতে রীতিমত বিধ্বংসী ছিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। ৬ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ২টি করে উইকেট নেন শুভাগতহোম, ইয়াসিন আরাফাত মিশু আর হাসান মাহমুদ।
জবাবে মোহামেডান ওপেনার রনি তালুকদার হাফসেঞ্চুরি (৭৯ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৭) করলেও জাতীয় দলের তারকা সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খুব সুবিধা করতে পারেননি। সৌম্য রানআউট হন ১ রানে, মাহমুদউল্লাহ করেন ২০।
১১৮ রানে ৪ উইকেট হারায় মোহামেডান। তবে মোহাম্মদ হাফিজ আর আরিফুল ইসলামের ব্যাটে জয় পেতে কষ্ট হয়নি তাদের। ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল।
ডিপিএলে এবার খেলতে এসে প্রথম তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি হাফিজ। করেন ৪, ০ আর ২৮ রান। অবশেষে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার।
জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে এসে ফিরেছেন এই হাফসেঞ্চুরিয়ান। ৫৮ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫০ করা হাফিজকে আউট করেন পেসার সুমন খান।
খুলনা গেজেট/এএ