রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে অনিশ্চিতা রয়েছেই। একদিকে রুশ সামরিক অভিযান অন্যদিকে ইউক্রেনীয়দের প্রবল প্রতিরোধ। এরইমধ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা হিসেবে দেশটিতে ১৫০০ স্ট্রেলা বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০ এমপি৩ মেশিনগান পাঠিয়েছে জার্মানি।
ইউক্রেন সরকারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান প্রেস এজেন্সি। এর আগে গত বুধবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেয়ারবক জানিয়েছিলেন, সরবরাহ বিলম্বের পর একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের আরেকটি চালান ইউক্রেনের পথে এগোচ্ছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে জার্মানির অস্ত্র সরবরাহকে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে অস্ত্র না পাঠানোর ঐতিহাসিক নীতি থেকে জার্মানির সরে আসা বলছেন বিশ্লেষকেরা।
এ বিষয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমেক বলেছেন, চলমান ইউক্রেন পরিস্থিতিতে জার্মানি সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশের একটি। এজন্য আমরা গর্বিত নই। তবে ইউক্রেনকে আমাদের সাহায্য করতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া।
রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের আকাশসীমা ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আহ্বান জানান।
এদিকে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ালেও ইউক্রেনকে শুরু থেকেই অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে ন্যাটো ও ইউরোপের দেশগুলো। এরইমধ্যে নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি ভেঙে ইউক্রেনে যুদ্ধের রসদ পাঠালো জার্মানি।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের এক মাস পার হলেও ইউক্রেনীয় প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাদের সঙ্গে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্ব অনেকাংশেই শেষ। এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল পুরোপুরি ‘মুক্ত’ করার দিকে নজর থাকবে রাশিয়ার। যুদ্ধে এ পর্যন্ত বেসামরিক লোক হতাহতের পাশপাশি দেশ ছেড়েছেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ। ভেঙে পড়েছে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা।