বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াচ্ছিল এক বছর আগে থেকে। এক মাস আগে যেখানে উত্তাপ ছড়ানোর কথা ছিল বহুগুণে, উল্টো এখন পুরো পরিস্থিতি শীতল। দুই বছরের বেশি সময় আগে বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এক অদৃশ্য কারণে তিনি পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে গেছেন।
এতদিন মাঠ গরম করে রাখা তরফদার মো. রুহুল আমিনের হঠাৎ রণেভঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনী উত্তেজনার পারদ নেমে গেল তলানীতে। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণা শেষ। নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম ঘোষণা করে দিয়েছেন তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। তবে করোনার জন্য ৩ অক্টোবরের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও বাফুফের সভাপতির কাছে অনুরোধপত্র পাঠিয়েছেন বাফুফের সহ-সভাপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়।
আজ থেকে নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু হচ্ছে। বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তরফদার রুহুল আমিন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় এই পদে সালাউদ্দিনের কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। আবদুস সালাম মুর্শেদীও চতুর্থবার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দ্বিতীয় কোনো নাম শোনা যাচ্ছে না এই পদেও। ফলে বাফুফের নির্বাচনে এই দুই বড় পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের জেতার সম্ভাবনাই বেশি। সালাহউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীর প্যানেলের বাইরে সদস্য প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু, শেখ মো. আসলাম, ইমতিয়াজ সুলতান জনিসহ আরও ক’জনের। কিন্তু করোনার থাবায় হাসপাতালে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। অন্যদিকে বাসায় চিকিৎসাধীন বাবলু ও শেখ আসলাম। ফলে সব মিলিয়ে বাফুফের নির্বাচন এখন উত্তাপহীন।
এদিকে বাফুফের নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী দেয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ। সে লক্ষ্যে আজ দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক সভায় মিলিত হবেন কর্মকর্তারা। মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ‘বাফুফের নির্বাচনে আমরা সদস্য প্রার্থী দেবো। তাই একটি সাংগঠনিক সভা করবো শনিবার।’
খুলনা গেজেট/এএমআর