ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১২ শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়ে তিন দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে পুরান ঢাকার ধূপখোলা থেকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে আদেশ দেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে গেন্ডারিয়া থানার দ্বীননাথ সেন রোডের তৃতীয়তলার একটি মেস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিবিরসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের করা কোতোয়ালি থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিবিরকর্মীর নাম পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন সংগীত ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আল-মামুন রিপন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদুর রহমান, লোক প্রশাসন ১৪ ব্যাচের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), ইতিহাস ১৪ ব্যাচের ইসরাফিল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ১৪ ব্যাচের ইব্রাহিম আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ১৫ ব্যাচের মেহেদী হাসান ও ওবাইদুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান ১৫ ব্যাচের আবদুর রহমান (অলি), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের রওশন উল ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদুর রহমান।
এদের মধ্যে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (মাহাদী) এবার আসন্ন ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক পদে লড়ছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, কেউ নির্দোষ হলে যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার করা না হয়।’