নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (বাঁয়ে) এবং যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি (ডানে)
রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মিল্কি হত্যা মামলার এজাহারে টিপুর নাম থাকলেও ওই সময় তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই আদালত তাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। তাই টিপু হত্যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
টিপু ছাড়াও মিল্কি হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন; এসএম জাহিদ সিদ্দিক তারেক ওরফে কিলার তারেক, মো. মাহবুবুল হক হিরক, আবুল মোনায়েম মোহাম্মদ আমিনুল এহসান বাবু ওরফে টমেটো বাবু ওরফে ডিস বাবু, এনামুল হক, মাসুম উদ্দিন, আহকাম উল্লাহ, ওয়াহিদুল আলম প্রকাশ আরিফ ভূঁইয়া ও তানজিম মাহমুদ তানিম।
মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস বলেন, নিহত জাহিদুল শাহজাহানপুরের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ডলির স্বামী। এছাড়া তিনি শাহজাহানপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ঘটনাস্থল সিআইডি ক্রাইম সিনসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। তদন্তের স্বার্থে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা দরকার আমরা তা করেছি। পুলিশ তদন্ত করছে। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণী বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন জাহিদুল ইসলাম টিপু।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী প্রীতিও। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে তিনিও বিদ্ধ হন। পরে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢামেকে চিকিৎসাধীন।