বাংলাদেশের বিপক্ষে শিষ্যদের পারফরম্যান্সে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের প্রধান কোচ মার্ক বাউচার। বাউচার মনে করেন, প্রোটিয়ারা বাংলাদেশকে ভয় পেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিল।
কয়েক মাস আগে ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করা দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। যে দুটি ম্যাচে তারা হেরেছে তাতে ছিল না ছিটেফোঁটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ২-১ জন প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও দলীয় প্রচেষ্টা না থাকায় বরণ করে নিতে হয়েছে পরাজয়।
বিশেষ করে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো শুরুর পরও ১৫৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মানতে পারছেন না বাউচার। তিনি মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ভয়ে ভয়ে খেলেছে, ভালো শুরুর পরও ঘুমিয়ে গেছে।
সিরিজ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাউচার বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট ছিল না। ভালো শুরুর পর ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা মোটেও এভাবে খেলতে চাই না। আমরা ভেবেছিলাম ভালো শুরুর পর ছন্দ ধরে রাখা যাবে। আমরা সেটা করতেই পারিনি। তারা ভালো বল করেছে, তবে রানের জন্য আপনাকে কিছু ঝুঁকি নিতে হবে। মনে হয়েছে আমরা আউট হয়ে যাওয়ার ভয়ে ছিলাম। এই উইকেটে অন্তত ৩০০ রান হতে পারত।’
বাউচারের মতে, দুই দলের পার্থক্য গড়ার পেছনে বড় ভূমিকা আছে বাংলাদেশের স্পিনারদের। বাংলাদেশের স্পিনকে প্রোটিয়া ব্যাটাররা ভয় পেয়েছেন বলে মনে হয়েছে বাউচারের। সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকবার তিনি উচ্চারণ করলেন- ভয়ই কাল হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
তিনি জানান, ‘আমরা শ্রীলঙ্কায় স্পিনে ভালো খেলেছি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় স্পিনাররা একটু সহায়তা পেলে আমরা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছি। কন্ডিশন অনেকটা ভারতের মত ছিল। বারবার মনে হয়েছে তারা আউট হয়ে যাওয়ার ভয়ে ছিল। তারা ভুলে গিয়েছিল- ব্যর্থতা ভুলে রান করে যাওয়াটাই যে ক্রিকেট।’
বাউচার তাই মনে করেন, বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে নিজেদের দেশে ভালো খেলা যায়- এই বিশ্বাসটাই ছিল না স্বাগতিক দলের ব্যাটারদের। তিনি বলেন, ‘স্পিন খেলতে আমাদের সবসময়ই সমস্যা ছিল। মাঠের চতুর্দিকে রান তুলতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমরা আগ্রাসী হবো, কিন্তু স্পিনে রান তুলতে তো স্মার্টও হতে হবে। বাংলাদেশের স্পিনাররা ধীরে বল করেছে। তাই এসব বলে বড় শট খেলা কঠিন। এমন বোলিংয়ের ব্যাপারে ভালো করার বিশ্বাসটাই বোধহয় ছিল না। এই সিরিজে আমরা খোলসে ঢুকে গিয়েছিলাম।’