রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী তানভীর আলম তুষার আত্মহত্যা করেননি। তাকে আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য মিলেছে।
তানভীর আলম তুষার বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এর আগের দিন বুধবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘আই কোয়াইট ফর এভার’ লিখে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন তানভীর আলম তুষার। এ কারণে পরিবারসহ প্রতিবেশিদের ধারণা ছিল তুষার আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখন সেই ধারণা পাল্টে দিচ্ছে।
তুষারের বাবা মোহসিন আলী বলেন, মেডিকেলের প্রতিবেদনে জানতে পেরেছি, তার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে (তুষার) হত্যা করা হয়েছে। হয়তো রাতের কোনো এক সময় কেউ বাড়িতে এসে তুষারকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে কৌশলে পালিয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কল লিস্ট অনুসন্ধান করলে হয়ত কোনো ক্লু বের হবে। ছেলেকে কারা হত্যা করল, কখন মৃত্যু হলো, কেনই বা হত্যা করা হলো তদন্তে জানা যাবে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. ইফফাত শারমিন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারাগাছ থানার উপপরিদশক (এসআই) আবু ছাইম বলেন, তানভীর আলম তুষারকে আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ তার বাবা মামলা করেছেন। আমরা ক্লুলেস এ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে তুষারের চাচাতো ভাই সাব্বির আলম তাকে ডাকতে এসে রুমের দরজা বন্ধ দেখেন। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তুষারকে আধাপাকা ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে নামানোর ব্যবস্থা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই