মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে বিভাগীয় শহর খুলনাতেও সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে।
ঐদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। পরে একইস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স,স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড, নৌ-স্কাউট কর্তৃক বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হবে।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সকাল ১১টায় নগরীর সিনেমা হলসমূহ ও দৌলতপুর শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। দুপুর একটায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে ঐদিন বাদযোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে।
স্থানীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দু’টা হতে বিকেল সাড়ে পাঁচ’টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।
বেলা সাড়ে তিনটায় পাইওনিয়ার স্কুলে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ হবে।
বিকেল চারটায় জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি একাদশ বনাম জেলা প্রশাসন একাদশ এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর নির্দিষ্ট স্থানসমূহে বাদ্য সংগীত পরিবেশন এবং সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ ছবি ও পুস্তক প্রদর্শন করা হবে।
কেসিসি সঠিক মাপের জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রঙ এর পতাকা দ্বারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিত করবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট ভবন আলোকসজ্জা করা হবে।
২৬ মার্চ সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় খুলনার ডালমিল মোড়ে অবস্থিত সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে কেবল ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য উন্মুক্ত বিষয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
২৪ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা শিশু একাডেমি কার্যালয়ে সকল শিশুর জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ক-বিভাগ: নার্সারী থেকে ২য় শ্রেণি, বিষয়: ও মাধ্যম উন্মুক্ত; খ-বিভাগ: ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি, বিষয়: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক। গ-বিভাগ, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত, বিষয়: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, মাধ্যম: জল রং/প্যাস্টেল রং। সকাল ১০টায় কেবল মুজগুন্নি শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিশুদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ক-বিভাগ: ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি, বিষয়: স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং খ-বিভাগ: ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি, বিষয়: স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব। এ সময় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার কাগজ শিশু একাডেমি সরবরাহ করবে এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি শিশুদের সঙ্গে আনতে হবে।
২৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে শহিদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে। খুলনার সকল পার্ক, জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘর শিশুদের জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা এবং বিনা টিকিটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। শিববাড়ী মোড়ে বিসিক ভবন চত্বরে ২৬ মার্চ সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
জেলার সকল উপজেলাগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই