গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আকাশ নীলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রোববার (২০ মার্চ) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ নীল’র প্রতারণার মূলহোতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান রনিকে রাজধানী ও ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবে র্যাব।
জানা গেছে, লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যান ‘আকাশ নীল’র ব্যবস্থপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান রনি।
এ নিয়ে শনিবার (১৯ মার্চ) ৩১ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে বাদী হয়ে মামলা করেছেন রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি প্রায় দুই কোটি টাকাসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মামলার আসামিরা হলেন— আকাশ নীলের চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও সিইও মশিউর রহমান, পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান রনি, এজেন্ট রাকিবুল হাসান, এজেন্ট সৈয়দ রুমান, মশিউর রহমানের স্ত্রী শেয়ারহোল্ডার ফাতেমা আক্তারী, মৌসুমী আক্তার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মামলার বাদী (রুহুল আমিন) ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন আকাশ নীল নামের একটি প্রতিষ্ঠান মাত্র ২৫ দিনে মোটরসাইকেল ক্রয় ও বিক্রয় করছে। এমন বিজ্ঞাপন দেখে তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে ছয়টি মোটরসাইকেল পাওয়ার আশায় বিনিয়োগ করেন। কিন্তু বেঁধে দেওয়ার সময়ও তিনি মোটরসাইকেল না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাকে চেক দেওয়া হলেও টাকা দেওয়া হয়নি। পরে টাকার জন্য চাপ দেওয়া হলে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন মালিক মশিউর রহমান।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী রুহুল আমিনের সবমিলিয়ে এক কোটি ৯৫ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেছে আকাশ নীল। তিনি ছাড়াও আরও ৩০ জন যুবকের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।