টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে শুরুতেই নাড়িয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল দলীয় রান তিন অঙ্কে যাওয়া নিয়েও। ৪০ রান না পেরোতেই যে হারিয়ে বসেছিল ৫ উইকেট। তখনই বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার দায়িত্বটা নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আফিফ হোসেন।
দুজনের পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটিটা বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছিল ভদ্রস্থ একটা দলীয় সংগ্রহের। তবে দলীয় শতরান পেরোনোর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে হারিয়ে বসেছে সফরকারীরা।
ইনিংসের ২৮তম ওভার করতে আসা তাবরাইজ শামসি লেগ স্লিপ নিয়ে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহর জন্য। লেগ স্লিপে দাঁড়ানো ইয়ানেমান মালানের হাতে ক্যাচ দিয়েই ফিরেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে ফেরার আগে ৪৪ বলে ২৫ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। এই ইনিংস তিনি সাজিয়েছেন তিনটি চার দিয়ে। তাতেই বাংলাদেশ নিজেদের শুরুর ধাক্কাটা সামলে নিয়েছে।
এরপর ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে ফিনিক্স পাখি হওয়ার সঞ্জীবনী সুধাই যেন দিলেন আফিফ হোসেন। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে করলেন দারুণ এক ফিফটি। তার এই ইনিংসে ভদ্রস্থ একটা সংগ্রহের আশা দেখছে বাংলাদেশও। তার সাথে যোগ হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ জুটি গড়েছেন তরুণ এই দুই খেলোয়াড়।
তাদের জুটিতে ভর করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৪৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।