সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করে বাংলাদেশ। তবে প্রোটিয়া বোলারদের মোকাবিলা করে রান তুলতে ভুগতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। রাবাদা-এনগিডিদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের জন্য বেশ লড়াই করছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শুরু থেকে লম্বা সময় টিকলেও তেমন রান তুলতে পারেননি তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুজনেরই রানের গতি ছিল মন্থর। তবে তাঁরা উইকেটে ছিলেন লম্বা সময়।
শেষ পর্যন্ত ২২তম ওভারে আউট হয়েছেন তামিম ইকবাল। ৬৭ বলে ৪১ রান করে বিদায় নিয়েছেন তিনি। তামিমের পর হাফসেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর সাকিব-মুশফিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের প্রথম ওভারে লুঙ্গি এনগিডির বলে কোনো রান নিতে পারেনি লাল-সবুজের দল। কাগিসো রাবাদার দ্বিতীয় ওভারে দুই রান নিয়ে দলীয় রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। পরের ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে তামিমও খোলেন রানের খাতা। দুই ওপেনারের সতর্ক ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই করছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ মাত্র ৩৩ রান তোলে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মানেই বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্ন। এর আগে কখনোই প্রোটিয়াদের মাঠে জয়ের দেখা পায়নি লাল-সবুজের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার এই কঠিন দুর্গ ভাঙার মিশনে আরেকবার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে দুদলের লড়াই। সেঞ্চুরিয়নে ম্যাচটিতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।
প্রোটিয়াদের মাঠে এই সফরটা কঠিন হলেও কিছুটা ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ। কারণ সফরের ঠিক আগেই ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নিজেদের সেরা দল নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে উড়াল দিয়েছে লাল-সবুজের দল। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবার প্রোটিয়াদের মাঠে জয়ের ইতিহাস লিখতে চায় তামিম ইকবালের দল।
যদিও অতীত ইতিহাস কিছুটা ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২১টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে জয় কেবল চারটিতে বাকি ১৭টিতেই হার। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৯ ওয়ানডে খেলে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৭ সালে তিন ওয়ানডে এবং দুটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সব ম্যাচেই হারে লাল-সবুজের দল।
এত তিক্ত অভিজ্ঞতার মাঝে আছে সুখকর স্মৃতিও। কারণ সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে ওভালে এই প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সুখস্মৃতিই এবারের অনুপ্রেরণা দিতে পারে তামিম-সাকিবদেরকে। এবার মাঠে সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কতটুকু ফেলতে পারে সেটাই দেখার।
খুলনা গেজেট/ এস আই