খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত
  শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২

যারা জয় বাংলা বলে না, তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় : প্রধানমন্ত্রী

গে‌জেট ডেস্ক

দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি মনে করেন, এই নতুন আদমশুমারি রিপোর্ট প্রকাশ করে দেশে হতদরিদ্র পাওয়া যাবে না। আর সবশেষ রিপোর্টে দারিদ্র্যের যে হার, সেটি আরও কম পাওয়া যাবে।

সরকারপ্রধান বলেছেন, সরকার দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।

বঙ্গবন্ধু কন্যা তার দীর্ঘ ভাষণে পাকিস্তান শাসনামলে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ ও এসব আন্দোলনে জাতির পিতার ভূমিকার বর্ণনা দেন।

সেই সঙ্গে তার সরকারের শাসনামলে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশে দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি সামনে আরও কমবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমি মনে করি সেনসাস রিপোর্ট বের হলে দেখা যাবে, আমাদের দেশে আর কোনো হতদরিদ্র থাকবে না এবং দারিদ্র্যের হার আরও কমে যাবে। মানুষের এখন আর ছিন্ন বস্ত্র নেই, এখন অন্তত ভালো কাপড়-চোপড় পরতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তা এখন আমরা নিশ্চিত করেছি। পুষ্টি নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে, যে যা কিছু পারেন উৎপাদন করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটি অত্যন্ত উর্বর। একটু উদ্যোগ নিলেই আমরা পারি আমাদের খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে।

‘৯৬ সালে সরকারে এসে মাত্র দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। কাজেই সেটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’

দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না জানিয়ে গৃহনির্মাণ কাজ তদারকিতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনকে তদারকির দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।

‘কোনো হায়েনার দল’ বাঙালির অর্জন যেন আর কেড়ে নিতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের গতিধারাটা অব্যাহত রাখার কথাও বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বলেন, ‘উন্নয়নের প্রত্যেকটা ধারার সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করেই তাদের জন্য কাজ করে যেতে হবে।’

যে কোনো সময়, যে কোনো অবস্থায়, যে কোনো পদক্ষেপ নিতে, কখনও পিছপা হননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেটা মনে করেছি, যেটা মানুষের কল্যাণে হবে, জনগণের কল্যাণ হবে, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।’

দেশের মানুষ আপন করে নিয়েছে এবং জনসমর্থন আছে বলেই জনগণের কল্যাণে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে কখনও পিছপা হননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান যারা দিতে চায় না, তাদেরও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।

বলেন, ‘এখনও যারা এই স্লোগানটা দেয় না, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করে না। এই কথাটা মনে রাখতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা সব বই পড়ার অনুরোধ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত বইগুলো পড়তে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে যে গোয়েন্দা রিপোর্ট, সে রিপোর্টগুলো এখন আমি একে একে প্রকাশ করছি। আমি চাই, আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রিপোর্টগুলো দেখা উচিত, পড়া উচিত, জানা উচিত এবং এটা নিয়ে অনেক গবেষণাও করা যেতে পারে।’

‘স্মৃতিকথা’ নামে বঙ্গবন্ধুর লেখা আরও একটি বই শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই লেখার মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস জানা যাবে, রিপোর্ট থেকেও ইতিহাসের অনেক কিছু জানার সুযোগ আছে। অনেক বক্তৃতা হয়তো তিনি দিয়েছেন, যা বাইরে প্রকাশ হয়নি। কিন্তু সেই গোয়েন্দা রিপোর্টে আছে।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!