ভারতের কর্নাটকের ছোট্ট শহর উদোপি, যেখানে বসবাস করেন ১৭ বছর বয়সী আলিয়া আসাদি। মুসলিম এই শিক্ষার্থী হিজাব বাতিল করার বিপক্ষে লড়ছে। এর ফলে বিজেপির দুই নেতা তাকে উগ্র ইসলামপন্থি হিসেবে আখ্যায়িত করে সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিপথে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
আলিয়া একজন কারাতে চ্যাম্পিয়ান, সে রাজ্য প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক অর্জন করে। তার বাবা আইয়ুব আসাদি ছোট বেলা থেকেই মেয়েকে হিজাব পরিধানের ব্যাপারে সচেতন করেছেন। তিনি বলেন, মেয়ে হিজাব পরার কারণে কখনও তার লক্ষ্য অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
তিনি আরও বলেন, হিজাব অবশ্যই প্রয়োজনীয়। আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই হিজাব পরে। এমনকি কারাতে প্রয়োগিতায় আমার মেয়ে হিজাব পড়েই অংশগ্রহণ করেছে।
আলিয়া বলেন, আমি ক্রুসেডার হতে চাইনি। কিন্তু আমার বাবা মা আমার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। সরকারি কলেজে ভর্তি করানোর পরও আমি সেখানে হিজাব পরে যাই। কিন্তু সেখানে আমাকে নিয়মের দোহাই দিয়ে হিজাব পরিধান করতে নিষেধ করলে আমি প্রতিবাদী হয়ে উঠি।
আলিয়া আরও বলেন, প্রথমে আমরা কলেজে হিজাব পরে যায়নি। শুরুতে আমরা আমাদের বাবা মাকে হিজাব পরিধান করার প্রয়োজনীয় বোঝানোর জন্য কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পাঠাই। কিন্তু অধ্যক্ষ তাদের কথা শুনে পুরোপুরি খুশি হতে পারেনি। এবং আমাদের বাবা মায়ের সঙ্গে হিজাব পরিধান সম্পর্কে কিছু বলেও নি। শেষ পর্যন্ত আমরা ক্লাসে হিজাব পরে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এর ফলে সে এখন তার বান্ধবীদের কাছ থেকে একা হয়ে পড়েছে।
এদিকে কর্নাটকের আদালত হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আলিয়ার বাবার তার মেয়েকে অন্য কলেজে ভর্তি করানোর চেষ্টা করছেন। যেখানে হিজাব পড়ার অনুমতি রয়েছে।
আলিয়ার মতো অনেক শিক্ষার্থীকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এদিকে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট একই রায় বহাল রাখলে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দেবে কিংবা ঝরে পড়বে।
সূত্র: এনডিটিভি