ঝিনাইদহের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেনি অথচ পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল উধাও। কোথাও এই বোতল মিলছে না। আবার প্রতিটি দোকানে এক লিটারের বোতল থাকলেও দাম কমেনি। এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক কেজি খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সরকার ভোজ্যতেলে আমদানি শুল্ক কমানোর পরও বাজারের উত্তাপ কমেনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল। অভিজ্ঞরা বলছেন, বাজার মনিটরিং না হলে ভেঅক্তারা সুফল পাবে না।
ঝিনাইদহ ধোপাঘাটা এলাকার হাজী নুরুল ইসলাম জানান, সরকার ভোজ্যতেলের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমালেও তারা নতুন আমদানীকৃত তেল এখনো পাননি। ফলে আগের দামেই তেল বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, আমি বেশি দামে তেল কিনেছি। এ কারণেই আগের দামেই তেলগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন দামে তেল কেনার পরে আমি কম দামে তেল বিক্রি করতে পারবো। আমি তো ক্ষতি করে কম দামে তেল বিক্রি করতে পারবো না।
সরকার পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ও ভোক্তা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাটও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ