পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় এক আসামির ১০ বছর এবং আরেক আসামির সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুই আসামির প্রত্যেকের দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজন নাবালক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলমান। তাদের নাম জাহিদ হাসান ও মাসুদ।
অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামি হলেন কবীর হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফ, আবু সাঈদ ওরফে সালমান, আরমান ওরফে মনির, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসানউল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল। তাদের মধ্যে জামিনে আছেন পাঁচজন। আর কবীর, আরমান ও রুবেল কারাগারে আছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুসারে, ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর আশুরা উপলক্ষে হোসেনি দালানের শোক মিছিলে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরের দিন পুলিশ চকবাজার থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্যই সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ হামলা চালায়।
হোসেনি দালানে জঙ্গি হামলার এ মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, হোসেনি দালানে যারা হামলা চালায়, সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। এ হামলায় আরও তিনজনের নাম পাওয়া গেলেও তারা বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। ওই তিনজন হলো হিরন ওরফে কামাল, আলবানি ওরফে হোজ্জা ও আবদুল্লাহ ওরফে আলাউদ্দিন।
খুলনা গেজেট/ এস আই