রাজধানীর উত্তর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় নিজ ফ্ল্যাট থেকে আফরোজা সুলতানা (৩২) নামে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার(১৩ মার্চ) রাতে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আফরোজা একটি সিমেন্ট তৈরির কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
মাত্র দু’মাস আগেই জানুয়ারিতে বিয়ে করে, রাজধানীর উত্তর বাড্ডার এই বাসায় উঠেছিলেন আয়ান-আফরোজা দম্পতি। কিন্তু রোববার রাতে ঘটে গেল নৃশংস ঘটনা। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের কোন উদ্দেশ্য বোঝা যাচ্ছে না।
বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আফরোজার স্বামীও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি রোববার সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এদিকে সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন আফরোজা। লিফট দিয়ে চলে যান দোতলার নিজ ফ্ল্যাটে। কিছুক্ষণ পর গাড়ি চালক হৃদয় হাসান ওপরে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাকে নিচে নেমে আসতে দেখা যায়। এরপর ১৫-২০ মিনিট পরই বাসায় ফেরন আয়ান। আবিষ্কার করেন বাথরুমে স্ত্রী আফরোজার গলা কাটা মরদেহ।
হত্যার কোন কারণ খুঁজে পায়নি পুলিশ। তবে, সুরতহালের পর পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলছে, পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আয়ান ও গাড়ি চালক হৃদয়কে থানায় নেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য আফরোজার মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।