বাগেরহাটে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলার ৪১টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৪০৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
শনিবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে বাগেরহাট পুলিশ লাইন্সে যোগ্য প্রার্থীদের শারীরিক উচ্চতা, কাগজপত্রাদি যাচাই-বাচাই এবং প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, বাগেরহাট জেলায় ৩৫ জন পুরুষ ও ৬জন নারী মোট ৪১জন কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। এই নিয়োগের জন্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টাসে অনলাইনে আবেদন করেছেন। অনলাইনে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে ১ হাজার ৪০৪ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
১২ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত এসব প্রার্থীদের শারীরিক উচ্চতা, কাগজপত্রাদি যাচাই-বাচাই এবং প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা চলবে। ২০ মার্চ প্রাথমিক এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২৯ মার্চ মনস্তাত্তিক ও মৌখিক পরীক্ষার পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চুড়ান্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক। এর সাথে পুলিশ হেডকোর্য়ার্টার মনোনীত পুলিশ সুপার এবং অতিঃ পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ০৩ জন সদস্য রয়েছেন।
পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, শতভাগ সচ্ছতার সাথে বাগেরহাটে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। কোন নিয়োগ প্রার্থী দালাল চক্র বা প্রতারক দ্বারা প্রতারিত না হয়, এজন্য আমরা স্থানীয় পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। এই নিয়োগে যোগ্য প্রার্থীদেরই চাকুরী হবে। কোন প্রকার অনিয়ম ও সুপারিশের কোন সুযোগ নেই। এরপরেও কোন প্রতারক বা দালাল যদি কাউকে কোন প্রলোভন দেখায় সে ক্ষেত্রে সরাসরি পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর বাগেরহাট জেলায় ঘুষ ছাড়া ৩১ জন কনস্টেবলকে নিয়োগ দেওয়ায় সর্বস্তরে প্রশংসা পেয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এএ