দেশের তেলের মিল কারখানাগুলোতে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভুল তথ্য দিচ্ছে। দেশের অস্বাভাবিকভাবে তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তেল মজুদ করার কারণে ভোক্তা অধিকার মনিটরিং সেল মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের অর্থনৈতিক অঞ্চল সিটি গ্রুপের ইকনোমিক জনের তীর সয়াবিন তেলের কারখানা এবং রূপগঞ্জের রূপসী বাজার এলাকার এডিবল অয়েল লিমিটেড রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের কারখানায় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম মনিটরিং করেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বিভিন্ন তেলের মিল মালিকদের সঙ্গে তেলের রিফাইনারি মিলগুলোতে আজ থেকে তথ্য যাচাই বাছাই করার হবে। তেলের সাপ্লাই কোথা থেকে ঘাপলা হচ্ছে তা তদারকির করবে ভোক্তা অধিকার।
তিনি আরও জানান, অভিযানে অত্যাবশ্যক তো বিধিমালা পরিবেশক নিয়োগ ২০১১র ফর্ম (গ) মিলগুলো থেকে এজেন্টের যে মালামাল দেয়া হবে ইউনিট প্রতি দাম লিখে দিতে হবে ফর্ম অনুযায়ী। কিন্তু মিলগুলো থেকে মূল্য দেয়া হচ্ছে না। মিলগুলোতে কোনো তেলের সংকট নেই। এখন থেকে সবাইকে পাকা রশিদ দিতে হবে শুক্রবার (১১ মার্চ) থেকে কেউ যদি পাকা রশিদ ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করেন সেটি হবে আইনের ব্যত্যয় এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিটি গ্রুপের ইকোনমিক জোনের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের কারখানায় পরিচালক মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম জানান, মিল থেকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল সরবরাহ হচ্ছে, কোনো ধরনের সংকট বা ঘাটতি নেই। রোজা এবং ঈদ পর্যন্ত সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই