দক্ষিণাঞ্চলের কাঁকড়া অনেক দেশের অর্থনীতির একটি মুখ্য উপাদান। এ শিল্প বিশ্বব্যাপী একটি দ্রুত বিকাশমান খাত হিসেবে চিহ্নিত। কাঁকড়া চাষে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়াও বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অনেক দেশেরই শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই মানসম্মত কাঁকড়া চাষে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাময় খাত হতে পারে।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) খুলনার গল্লামারীস্থ মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
খুলনা জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ লাইভ অ্যাণ্ড চিন্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়শনের বাস্তবায়ণে মানসম্মত কাঁকড়া সরবরাহের গুরুত্ববিষয়ক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার কাঁকড়া চাষি ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশে কাঁকড়ার উৎপাদন ও রপ্তানি কমছে। সবচেয়ে করোনার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁকড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। তবে দেশের কাঁকড়াশিল্পের এই হতাশাজনক অবস্থার মধ্যে মানসম্মত কাঁকড়া চাষ করে আবারও আশার আলো জাগাতে হবে।
দেশের মৎস্যজাতীয় পণ্যের মধ্যে পূর্বে সবচেয়ে দ্রুত চাষ ও রপ্তানি হয়েছিলো কাঁকড়ার। কিন্তু এটি এত দিন ছিল প্রকৃতিনির্ভর। এতে প্রকৃতিনির্ভর এই সম্পদ দ্রুত বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য কাঁকড়ার কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে এর পোনা এখন থেকে হ্যাচারিতে উৎপাদন করতে হবে। আর খামারে কাঁকড়া চাষ করে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে। এজন্য মানসম্মত কাঁকড়া চাষে গুরুত্ব দিতে হবে এবং অপদ্রব্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ লাইভ অ্যাণ্ড চিন্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়শনের সহসভাপতি তপন কুমার সরদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু ছাইদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যাণ্ড মেরিণ রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক খন্দকার আনিসুল হক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহকারি নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ ঘোষ ও বাংলাদেশ লাইভ অ্যাণ্ড চিন্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়শনের ট্রেজারার মোশারফ হোসেন প্রমূখ।