সূচকের বড় পতনে লেনদেন চলছে দেশের দুই শেয়ারবাজারে। বেলা ২টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক কমেছে ১৬৮ পয়েন্টের বেশি। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে ৩৮৪ পয়েন্ট। বাজারে দর হারিয়েছে ৩৫৯ টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানির শেয়ার দর।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে। এ সময় ডিএসইতে ৫৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া দর হারিয়েছে হাতবদলে অংশ নেয়া ৯৪ ভাগ প্রতিষ্ঠান। দর বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে মাত্র ১০টি কোম্পানির শেয়ার।
ডিএসই তে গতকাল রোববার দরপতনের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ছিল বিএসসি। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল এ দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৯ টাকা বা সাড়ে ৭ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ১১২ টাকায়।
এর মধ্যে গতকাল এক দিনেই কমেছে সোয়া ৫ শতাংশ বা ৬ টাকা ২০ পয়সা। আবার এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য কমেছে ৩১ টাকা বা প্রায় ২২ শতাংশ। এতে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে অনেক বিনিয়োগকারী বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছে, ইউক্রেনে জাহাজে হামলার প্রভাবে কমছে বিএসসির শেয়ারের দাম। গত ৩ দিনে বিএসসির শেয়ার দাম কমেছে ১৫ টাকা।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর দেশের শেয়ারবাজারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তার রেশ এখনো কাটেনি। দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে বাজারে। তারই অংশ হিসেবে গতকালও প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৮ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ৬৩৯ পয়েন্টে।
সূচকের এ পতনের চেয়ে বিনিয়োগকারীরা বেশি আতঙ্কিত লেনদেন কমে যাওয়ায়। ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৫ দিনের ব্যবধানে হাজার কোটি থেকে নেমেছে সাড়ে ৬০০ কোটিতে।
খুলনা গেজেট/এএ