বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে সিদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বামী-সন্তানকে বেধে রেখে গৃহবধুকে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার রিয়াজ শিকদার আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার(৫ মার্চ) বিকেলে গ্রেপ্তার রিয়াজ শিকদার বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আছাদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। এসময় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে অপর আসামী এনামুলকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আছাদুল ইসলাম।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার রিয়াজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তিতে রিয়াজ বলেছেন, তারা চারজন ঘরে ঢোকে এবং তিনজনে ওই গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। মালামাল লুটে নেয়। গ্রেপ্তার অপর আসামী এনামুল হাওলাদারের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অভিযুক্ত অন্য দুই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুন্ঠিত টাকা, সুপারি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে স্বর্ণালংকার নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আসামীরা।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) গভীর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামে সিদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বামী-সন্তানকে বেধে রেখে গৃহবধুকে ধর্ষণ ও মালামাল লুট করে চার সদস্যের একটি দস্যু দল। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে রিয়াজ শিকদারের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৭-৮জনকে আসামী করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। একইদিন বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ৩ মার্চ বিকেলে মামলার প্রধান আসামী রিয়াজ শিকদারকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর একদিন পরে ০৪ মার্চ বিকেলে এনামুল হাওলাদার নামের আরেক আসামীকে গ্রেফতার করে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ টি আই