শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় মঙ্গলবার বিশ্বে মারা গেছেন ৬ হাজার ৮০৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এই রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এই তথ্য।
ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিশ্বে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে— ১ হাজার ৪৫১ জন এবং সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে, ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৬৫ জন।
এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে এই দিন করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখঅ গেছে, সে দেশগুলো হলো— রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ৯৭ হাজার ৩৩৩ জন, মৃত্যু ৭৮৬ জন), দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৩ জন, মৃত্যু ১১২ জন), ভিয়েতনাম (নতুন আক্রান্ত ৯৮ হাজার ৭৬২ জন, মৃত্যু ৮৬ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৭৯ হাজার ৭৯৪ জন, মৃত্যু ২০৯ জন), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ৫৯ হাজার ৮৮৫ জন, মৃত্যু ২০৩ জন) এবং জাপান (নতুন আক্রান্ত ৫৫ হাজার ২৪৩ জন, মৃত্যু ১৮৭ জন)।
এছাড়া, এই দিন বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭৬ জন।
মঙ্গলবারের পর বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৩ কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৫২ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৪ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৩৭ কোটি ৯৭ লাখ ৮ হাজার ২২ জন।
বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৭১৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৭৪ হাজার ৭৭৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।