সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়ের বিভিন্ন দুর্নীতিসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে সরকারি-বেসরকারি সাত ব্যাংকে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, মেঘনা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ন্যাশনাল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড।
ব্যাংকগুলোর এমডি বরাবর দেওয়া চিঠিতে প্রশান্ত কুমার রায়, তার কন্যা অনিন্দিতা রায় বন্যা ও নবমিতা রায়সহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশান্ত কুমার রায়ের এক লাখ টাকার উপরে যত হিসাবে লেনদেন হয়েছে, সবগুলোর তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করার অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের সই করা নোটিশে চাহিদাকৃত নথিপত্র অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। সোমবার সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রশান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
এরপর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ২০২০ সালে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিশ দেয় দুদক।
ওই বছরই প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদের হিসাব দিয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন প্রশান্ত কুমার রায়। দাখিলকৃত সম্পদের হিসাব যাচাই-বাছাইয়ে বিভিন্ন নথিপত্র তলবের ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেন বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
ওই অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর প্রশান্ত কুমার রায়কে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
প্রশান্ত কুমার রায় ২০১৬ সালের ২০ মার্চ থেকে ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক এ সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যবসা পরিচালনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ডেনিম পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ডেনিম এক্সপোর্ট প্রসেসিং লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয়ে জনৈক এনামুল হকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব হস্তান্তর বা শেয়ার বিক্রির চুক্তি করেছেন বলেও সাবেক এ সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।