খুলনার পাইকগাছায় এক কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের দু’জন আহত হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাইকগাছা সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বহিরাগত এক ছাত্রলীগ নেতা পাইকগাছা সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। এসময় ছাত্রীর সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ নেতা রসুল প্রথমে তাদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ সহ মারপিট করে তাদেরকে আহত করে। এসময় নয়ন নামে ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়।
ঘটনার পর আহত নয়নসহ তার সাথে থাকা কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দুপুরের দিকে অন্যান্য সহকর্মীদের ডেকে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় কলেজ মাঠে ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এতে রসুল গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে উভয় পক্ষকে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশনা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী জানান, কোন ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মী যদি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটায় তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তিনি শুনেছেন তারা বহিরাগত ছিল।
পাইকগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিহির বরণ মন্ডল জানান, কলেজ গেটে হট্টগোলের কথা শুনে তিনি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, যে কেউ কোন মেয়েকে উত্যক্ত করলে সেটি আসলেই অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক বিষয়। সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনায় দফায় দফায় সংর্ঘের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনায় সংঘর্ষের ব্যাপারে সঠিক তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।