ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনার কারণে বন্ধ সব ধরনের খেলাধুলা। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও ঘরবন্দী। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে চায়। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প দিয়ে মাঠে ফেরার ব্যবস্থা হতে পারে। বিসিবি প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানালেন, ক্রিকেটারদের নিয়ে আপাতত এমনই পরিকল্পনা তাদের। এর জন্য অবশ্য সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ফেডারেশনগুলোর কাছ থেকে প্রস্তুতির গাইডলাইন চেয়েছে কয়েকদিন আগে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খেলা যায় এমন খেলাগুলো প্রথম ধাপে মাঠে ফেরার সুযোগ পাবে। ক্রিকেটও তেমনই একটি খেলা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ফিটনেস চর্চা বা স্কিল ট্রেনিং করা সম্ভব ক্রিকেটে। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচ খেলা, শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণ তারই প্রমাণ। এসব দেখে কন্ডিশনিং ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা মাথায় রেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তারা। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, সরকারের অনুমোদন দিলে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সীমিত পরিসরে কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে।
কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য ৩৮ জন ক্রিকেটারের তালিকা করে রেখেছেন জাতীয় দল নির্বাচকরা। ২৬ জনের এইচপি স্কোয়াডও করা হয়েছে। মিনহাজুলের মতে, ‘সরকার অনুমোদন দিলে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হতে পারে। ৩৮ জনের মধ্যে এইচপির চার-পাঁচজন আছে, ওরা বাদ যাবে। কারণ এইচপির আলাদা স্কোয়াড করা হয়েছে। স্কোয়াড দুটি হলেও কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে একসঙ্গে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিটনেস ক্যাম্পটা হওয়া দারকার। কারণ ম্যাচ ফিটনেস না থাকলে কোনো সিদ্ধান্তই নেওয়া সম্ভব হবে না। ব্যক্তিগতভাবে ট্রেনিং করে ম্যাচ ফিটনেস হয় না। এ জন্য কন্ডিশনিং ক্যাম্প লাগবে।’
এশিয়া কাপ বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের সামনে সেভাবে কোনো খেলা নেই। অক্টোবরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড যেতে পারেন মাহমুদুল্লাহরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে সফরে অন্য সংস্করণের ম্যাচও যুক্ত করা হতে পারে। সেপ্টেম্বরে এইচপির শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েও আশাবাদী বোর্ড। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) রাজি হলে অক্টোবর নভেম্বরে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে রাজি হতে পারে বিসিবি।
খুলনা গেজেট/রুবেল