কবে থেকে ২০২০-২১ মওসুমের ফুটবল শুরু হবে মঙ্গলবারও তা চূড়ান্ত করতে পারেনি বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি। তবে আগের মতো আজও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদীর স্পষ্ট করলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই খেলা মাঠে গড়াবে।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলবদল শুরুর আগে ফুটবলারদের কয়েকটি দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সভায় বসেছিল পেশাদার লিগ কমিটি। এতে লিগ শুরুর আগে ক্লাবগুলো পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লিগ কমিটি এখন ক্লাবগুলোকে নিজেদের মধ্যে মিটিং করে তাদের প্রস্তাবগুলো লিখিত জানাতে বলেছে।
ক্লাবের প্রস্তাব পাওয়ার পর ফের ফুটবলারদের সাথে অলোচনা করে লিগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান সালাম মুর্শেদী। তার মতে, আগামী লিগে সব ফুটবলার তাদের পুরনো ক্লাবেই থাকবে। দলবদল হলেও তা হবে সমঝোতায়। বাফুফে সেক্রেটারী তথ্য দেন আমরা জুনের মধ্যেই শেষ করতে চাই লিগ।
ক্লাব গুলোর পাঁচ প্রস্তাব হলো :
এক. তারা ফুটবলারদের বকেয়া টাকা এক সাথে পুরোটা দিতে পারবে না। কয়েক কিস্তিতে তা পরিশোধ করবে।
দুই. নতুন চুক্তিতে তারা গতবারের চুক্তির ২০ শতাংশ টাকা দিতে পারবে।
তিন. আগামী লিগ হতে হবে কম সময়ের মধ্যে।
চার. সাত ভেন্যুর বদলে খেলা হতে হবে তিন ভেন্যুতে।
পাঁচ. বিদেশী ফুটবলার ছাড়াই হতে হবে ২০২০-২১ মওসুমের লিগ।
এ সবই করোনার কারণে। ক্লাবগুলো করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঢাকার বাইরে বাকি ছয় ভেন্যুর সবগুলোতে যাবে না। ঢাকার আশে পাশে যেখান থেকে দিনে দিনে চলে আসা যায় সেই সব ভেন্যু যেমন কুমিল্লা, ময়মনসিংহ এমন ভেন্যুতেই খেলতে চায়। তারা থাকতে চায় না সে সব এলাকার হোটেলে। বিদেশী ফুটবলার ছাড়াই তাদের আগামী লিগে খেলার প্রস্তাবের নেপথ্য, আর্থিক দুরবস্থা এবং ফ্লাইট সংকটে বিদেশী ফুটবলারদের আনতে না পারার শংকা। যদিও ১৩ ক্লাবের মধ্যে তিন ক্লাব লে: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ঢাকা আবাহনী এবং বসুন্ধরা কিংস বিদেশী ফুটবলারের পক্ষে।
যদিও ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু জানান, ‘আমরা বিদেশী থাকলেও খেলতে রাজী। না থাকলেও।’
তবে শেখ জামাল এবং বসুন্ধরা কিংস বিদেশী ছাড়া খেলার বিপক্ষে।
সূত্র মতে, শেখ জামাল কর্মকর্তা কাল জানিয়েছেন, তাদের দলের ফরোয়ার্ড লাইনই সাজানো হয়েছে বিদেশীদের নিয়ে। সুতরাং নতুন মওমুমে তাদের পক্ষে বিদেশী ছাড়া খেলা সম্ভব নয়। আর বসুন্ধরা কিংস ইতোমধ্যে তিন বিদেশীর সাথে চুক্তি করে ফেলেছে। এদের নিয়ে তাদের ২৩ অক্টোবর থেকে এএফসি কাপ খেলার জন্য তৈরী হচ্ছে।
এর আগে পেশাদার লিগ কমিটির সাথে সভায় ফুটবলাররা প্রস্তাব করেছিল’ তদের গতবারের চুক্তির টাকার পুরোটা দিতে হবে। এরপর তাদের সাথে নতুন চুক্তি করতে হলে পুরোনা চুক্তির উপর ৫০/৬০ ভাগ টাকা দিতে হবে। কালকের সভায় ক্লাব সম্মত ফুটবলাদের পুরনো টাকা দিতে। আর্থিক দুরবস্থার কারণে তারা তা দিতে চায় কয়েক ধাপে। সে সাথে নতুন চুক্তি করবে পুরনো চুক্তি অনুপাতে ২০ শতাংশ টাকা দিয়ে। তা বাড়তে পারে ২৫ শতাংশ। অবশ্য যে সব ফুটবলারদের চুক্তি ৫ লাখের মধ্যে ছিল তাদের নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো শাতংশের হিসেব নয়। এদের ওই টাকার সমপরিমাণ দিয়েই নতুন চুক্তি করতে রাজী হতে পারে ক্লাবগুলো।
খুলনা গেজেট/এএমআর