বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন সংলগ্ন দুবলার চরের জেলেদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ দূর্গম এই চরে করোনা টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া। এসময়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা, রেডক্রিসেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আঃ ওহাব, বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দীন আহমেদ, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হাফিজ আল আসাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. রিজওয়ান শাফিক সৌর, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার, রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল, দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক ও জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।
টিকা দান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে জেলেদের উদ্দেশ্য সিনিয়র সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, করোনার শুরু থেকে আমরা সংক্রমণ রোধে কাজ করেছি। মানুষকে সচেতন করেছি। এরপরে যখন টিকা আবিষ্কার হয়ছে, তখন দেশের মানুষকে টিকা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা করেছি। যার কারণে করোনা ভয়াকসিন কার্যক্রমে পৃথিবীর মধ্যে আমাদের অবস্থান ১০ নম্বরে রয়েছে।
সচিব আরও বলেন, আমরা দেশের সকল মানুষকে টিকা দিতে চাই। এজন্য পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা করেছি আমরা। ছিন্নমুল ও দূর্গম অঞ্চলে থাকা মানুষদের টিকা প্রদান শুরু করেছি। সেই দারাবাহিকতায় জনবিচ্ছিন্ন দূর্গম দুবলার চরে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছি।
এর আগে বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে সিনিয়র সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়াসহ অতিথিগণ দুবলার চরে আসেন।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুবলার চরে এই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনে ২ হাজার ৫ শ জেলেকে টিকা প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। বুধবার রাত পর্যন্ত এই টিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন।