‘৪৩ দিনের শিশু কন্যা খাদিজা ইসলাম রুকাইয়া হামাগুড়ি দিয়ে পুকুরের পানিতে পড়তে পাড়ে না। তাই সন্তান হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে মা হিমা আক্তারকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সোমবার রাত ৮টার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামে বাবারবাড়ি থেকে ওই শিশুর মাকে গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এসআই হারুন অর রশিদ এ কথা বলেন।
নিহত শিশুকন্যা খাদিজা ইসলাম রুকাইয়া উপজেলার কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।
এসআই হারুন অর রশিদ আরও জানান, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে (হিমা) ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হিমা আক্তার সন্তান প্রসবের আগে থেকেই একই উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের বাবার (বাপের) বাড়িতে যান।
সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেওয়া সন্তান নিয়ে নানা মৃত হালিম আকনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন মা।
নানি জোহরা খানম ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে গোসল করিয়ে শিশুকন্যা খাদিজা ইসলাম রুকাইয়াকে ঘরের খাটে শুইয়ে রাখেন। কিছুক্ষণ পর নানি জোহরা ঘরে গিয়ে নাতনি খাদিজাকে না দেখে বাসার সবাইকে জানান। এ সময় স্বজনরা তাকে (খাদিজা) খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নানাবাড়ির পুকুর থেকে খাদিজার লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ খাদিজার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই দিন দুপুরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে খাদিজার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই