করোনা ভাইরাস মহামারির মাঝেই দেশের উত্তরাঞ্চল এবার ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার বানিয়ে ভেসে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। লাখো মানষের ঘরবাড়ি, বসতভিটা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। খাদ্যের অভাবে ভুগছেন হাজারো মানুষ। অসহায় এইসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন মুশফিকুর রহিম। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার বোহাইল ইউনিয়নের অন্তর্গত বোহাইল গ্রাম ও ধারাভার্ষা চরে দুইদিন আগে বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে ‘মুশফিকুর রহিম ফাউইন্ডেশন’। মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন জাতীয় দলের এই সিনিয়র ক্রিকেটার। ত্রাণ বিতরণের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি- বগুড়া ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা।
ফেসবুক পোস্টে মুশফিক লিখেছেন, ‘যতদূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। দিগন্তে সবুজের হাতছানি। ভরাট যৌবনা নদীর বুক চিরে এগিয়ে চলা পালতোলা নৌকা আর মাছরাঙার জলকেলি। দর্শানার্থীদের জন্যে চোখ ঝলসানো সৌন্দর্য, আর নদীর দুপাশে বসবাসরত মানুষের জন্যে মূর্তিমান আতঙ্ক। একে করোনার ছোবল, তার উপর বন্যার নির্যাতন। স্বাভাবিক জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন। সমস্ত ফসল, বসতবাড়ি পানির নিচে, ভয়ালদর্শন স্রোতে গ্রামের অনেকখানি নদীগর্ভে।
চিরকাল খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ বড্ড অসহায়। নিয়তি মেনে নেয়া সজল চোখে, আজ শুধুই সাহায্যের আকুতি। সব খবর জেনে সিদ্ধান্ত নেই, এই মানুষগুলোর কাছে আমার, সামান্য সম্মান মোড়ানো ভালোবাসা পৌছাতেই হবে। এটা আমার দায়িত্ব। এরপরের গল্পটা, শুধুই মুখে হাসি ফোটানোর গল্প।
আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায়, গত দুইদিন আগে, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার বোহাইল ইউনিয়নের অন্তর্গত বোহাইল গ্রাম ও ধারাভার্ষা চরে, বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে আমার স্বপ্নের গঁংযভরয়ঁৎ জধযরস ঋড়ঁহফধঃরড়হ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ত্রাণ বিতরণের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বগুড়া ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানাচ্ছি। ’
খুলনা গেজেট/এএমআর